আজ শুক্রবার রাত ৮টার বাংলা সংবাদের পর প্রচার হবে আমাদের চির গৌরবের জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ছাত্র জীবনের স্মৃতি বিজড়িত ত্রিশালের দরিরামপুরে ধারণ করা ইত্যাদি’র একটি সংকলিত পর্ব। আমাদের জাতীয় কবির ৪৬তম মৃত্যুবার্ষিকীকে সামনে রেখে এবং তাঁর প্রথম প্রকাশিত কাব্যগ্রন্থ’‘অগ্নিবীনা’র শতবর্ষ উদযাপন উপলক্ষে কবি নজরুলের স্মৃতি বিজড়িত ত্রিশালের এই স্থানকে ২০২২ সালের জুলাই মাসে প্রচারিত ইত্যাদির ধারণকৃত স্থান হিসেবে বেছে নেয়া হয়েছিল। জাতীয় কবির বিভিন্ন অমর কবিতা ও তাঁর প্রতিকৃতি দিয়ে সাজানো দৃষ্টি নন্দন মঞ্চের সামনে কয়েক হাজার দর্শক নিয়ে অনুষ্ঠানটি ধারণ করা হয়।
অনুষ্ঠানে একটি জনপ্রিয় নজরুল সংগীত গেয়েছেন এ সময়ের জনপ্রিয় কণ্ঠশিল্পী বাপ্পা মজুমদার ও প্রিয়াংকা গোপ। রয়েছে জাতীয় কবির তিনটি গান ও দু’টি কবিতার সমন্বয়ে সৃষ্ট একটি সংগীতের সঙ্গে স্থানীয় প্রায় শতাধিক নৃত্যশিল্পীর নাচ। দু’টি গানেরই সংগীতায়োজন করেছেন মেহেদী। নৃত্য পরিচালনা করেছেন মনিরুল ইসলাম মুকুল। এছাড়াও এবারের সংকলিত এই পর্বে ইত্যাদির সাভার ইপিজেড পর্ব থেকে জনপ্রিয় শিল্পী সৈয়দ আব্দুল হাদী ও সুবীর নন্দীর একটি গান সংকলন করা হয়েছে। গানটির কথা লিখেছেন মোহাম্মদ রফিকউজ্জামান, সংগীত পরিচালনা করেছেন আলী আকবর রুপু।
বরাবরের মতো এবারের পর্বেও রয়েছে কয়েকটি প্রতিবেদন। রয়েছে নজরুলের ত্রিশাল অধ্যায়ের সংক্ষিপ্ত বিবরণী। রয়েছে চাল নিয়ে অসাধু ব্যবসায়ীদের চালবাজীর চালচিত্র, পিএইচডি ডিগ্রীধারী একজন উচ্চ শিক্ষিত ব্যক্তি অধ্যাপক ড. আবু বকর সিদ্দিক প্রিন্সের বিশাল কৃষি কর্মকা-ের উপর একটি প্রতিবেদন। রয়েছে ময়মনসিংহ জেলার ফুলপুর থানার আবদুল মালেকের উপর একটি মানবিক প্রতিবেদন। এবারের পর্বে রয়েছে গ্রীসের অ্যাক্রোপোলিসের উপর একটি তথ্যবহুল প্রতিবেদন।
দর্শকপর্বের নিয়ম অনুযায়ী ধারণকৃত স্থান ত্রিশাল এবং জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামকে নিয়ে করা প্রশ্নোত্তরের মাধ্যমে উপস্থিত দর্শকের মাঝখান থেকে ৪ জন দর্শক নির্বাচন করা হয়। ২য় পর্ব সাজানো হয়েছে কিছু নজরুল সংগীত ও লোক সংগীত নিয়ে। এই পর্বে অতিথি হিসেবে উপিস্থত ছিলেন বিরল বাদ্যযন্ত্র সংগ্রাহক ময়মনসিংহের সন্তান জনাব রেজাউল করিম আসলাম।
নানান সামাজিক অসংগতি ও সমসাময়িক ঘটনা নিয়ে বেশ কিছু বিদ্রুপাত্মক নাট্যাংশসহ এবারও যথারীতি রয়েছে মামা-ভাগ্নে, নানি-নাতি ও চিঠিপত্র বিভাগ।
ইত্যাদি রচনা, পরিচালনা ও উপস্থাপনা করেছেন হানিফ সংকেত। প্রচার হবে বাংলাদেশ টেলিভিশনে।
খুলনা গেজেট/এনএম